খালেদা চাইলে চিকিৎসা : হাইকোর্ট
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চাইলে তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এজন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও কারাগার কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
এর আগে বেগম খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও হাসপাতালে চিকিৎসা অব্যাহত রাখার রিটের আদেশ পিছিয়ে আজ সোমবার আদেশের দিন ধার্য করা হয়।
‘প্রয়োজনে খালেদাকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে হবে’ বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বলেন, প্রয়োজন হলে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা নিয়ে করা রিট নিষ্পত্তি করে সোমবার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
মুরাদ রেজা সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আউটডোর প্যাশেন্ট হিসেবে ইনজেকশন বা ফিজিওথেরাপি তিনি জেলে বসেই নিতে পারেন। তাছাড়া উনি যখনই অসুস্থ্ হন, তার যদি ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন হয়, তবে জেল অথরিটি মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ নিয়ে সাথে সাথে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই মেডিকেল বোর্ড অথরিটি যদি মনে করে উনারা উনাকে (খালেদা জিয়াকে) চেকআপ করা দরকার, সেটা জেলে গিয়েও করতে পারবেন। উনি এখনও বোর্ডের আন্ডারে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ আদেশের দিন পিছিয়ে রোববার (১৮ নভেম্বর) নতুন দিন ধার্য করেছিলেন। সে হিসেবে আজ সোমবার এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হলো।
গত ১১ নভেম্বর (রোববার) খালেদার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিটের পর খালেদার আইনজীবীরা জানান, চিকিৎসাসেবা শেষ না করে বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
রিটে খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা চলমান রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। এ ছাড়া তাকে (খালেদা জিয়া) কেন পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা কর্তৃপক্ষ, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। এর আগে চিকিৎসাসেবা দিতে করা এক রিট গত ৪ অক্টোবর নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে চিকিৎসাসেবা দিতে করা এক রিট গত ৪ অক্টোবর নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই আদেশের পর চিকিৎসার জন্য পুরনো কারাগার থেকে ৬ অক্টোবর খালেদাকে বিএসএমএমইউ নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৮ নভেম্বর খালেদাকে বিএসএমএমইউ থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
এফএইচ/এসআর/এমএস