হাইকোর্টে এমপি রানার জামিন আবেদন
আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা আবারও হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন।
মঙ্গলবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ।
এর আাগেও তিনি একই মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন। সে সময় আদালত তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করলেও আপিল বিভাগ সেটি খারিজ করে দেন।
গত বছরের ১৯ অক্টোবর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন স্থগিত করে এ আদেশ দিয়েছিলেন।
ওই বছরের ১৩ এপ্রিল ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের সংসদ আমানুর রহমান খান রানাকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ সময় কেন আমানুর রহমান খানকে জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দিয়েছিলেন আদালত। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইকে ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ওই মামলায় ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে আত্মসমার্পণ করে জামিন আবেদন করেন রানা। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজপাড়া এলাকায় নিজ বাসার কাছ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় এমপি আমানুর রহমান খান রানাসহ ১৪ জনকে আসামি করে ২০১৭ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এফএইচ/এমএমজেড/পিআর
