মন্ত্রী মায়ার আপিলের রায় হয়নি আজ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের ওপর পুনঃশুনানির রায় ঘোষণার দিন পিছিয়েছে।
আজ (রোববার) রায় ঘোষণার দিন নির্ধারিত থাকলেও আসামি পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবারও শুনানি শুরু হয়। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ মায়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আজ মন্ত্রী মায়ার পক্ষে আবারও শুনানি করেছেন তার আইনজীবী। আগামীকাল দুদকের আইনজীবী শুনানি করবেন। আগামীকালই রায় ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানান এই আইনজীবী।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর হাইকোর্টের পুনঃশুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য ৭ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।
২০০৭ সালের ১৩ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক নূরুল আলম সূত্রাপুর থানায় এ মামলাটি করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত মায়াকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে জরিমানাও করেন। আপিলের পর ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগের এ নেতার ১৩ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক, যার শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১৪ জুন মায়াকে হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় বাতিল করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ। একইসঙ্গে হাইকোর্টে নতুন করে আপিল শুনানির নির্দেশও দেয়া হয়। পরে রিভিউও খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এরপর আপিল বিভাগে আদেশ অনুসারে হাইকোর্টে পুনরায় শুনানি হয়। গত ১৪ আগস্ট পুনঃশুনানি শেষ করেন আদালত। ওই দিন আদালত রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। তবে আজ পুনঃশুনানির ওপর আসামি পক্ষ আবার শুনানি করেন। কাল দুদকের পক্ষের আইনজীবীর শুনানির পর রায় ঘোষণা করা হতে পারে।
এফএইচ/এমবিআর/এমএস