ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আজও হচ্ছে না এমপিপুত্র রনির জোড়া খুনের মামলার রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৫১ এএম, ০৪ অক্টোবর ২০১৮

বহুল আলোচিত রাজধানীর ইস্কাটনে জোড়া খুনের মামলার রায় আজও ঘোষণা করা হচ্ছে না। এ নিয়ে দুইবার রায় ঘোষণার তারিখ পেছালো। এ মামলার একমাত্র আসামি আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনি।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মাকসুদুর রহমান এ বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী বাদ গেছে। তাকে পুনরায় আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য রি-কলের আবেদন করা হয়েছে। তাই আদালত আজ রায় ঘোষণা না করে ১৭ অক্টোবর পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ইমান রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের অধিকতর যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

এর আগে ৮ মে এ মামলায় রায়ের জন্য দিন ধার্য থাকলেও আদালত মনে করছেন মামলাটির বিষয়ে অধিকতর যুক্তিতর্কের প্রয়োজন আছে। ফলে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলার বিষয়ে অধিকতর যুক্ততর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন। এরপর মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে নিউ ইস্কাটনে মদ্যপ অবস্থায় রনি নিজ গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এতে রিকশাচালক হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম এবং ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান। পরবর্তীতে হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম রমনা থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ে কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ২৪ মে মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ৩১ মে এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে রনিকে গ্রেফতার করে। পরে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই রনিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার দাস।

২০১৬ সালের ৬ মার্চ রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সামছুন নাহার। মামলায় ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৮ জন সাক্ষ্য দেন।

জেএ/এমবিআর/এএইচ/পিআর/জেআইএম

আরও পড়ুন