ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আদালত অবমাননা : জনকণ্ঠের বিষয়ে রায় আজ

প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, ১২ আগস্ট ২০১৫

সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায় নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করে আদালত অবমাননার অভিযোগে দৈনিক জনকণ্ঠের প্রকাশক, সম্পাদক ও লেখকের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় ঘোষণা হবে আজ।

সোমবার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার রায়ের দিন জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদককে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে, রোববার প্রত্রিকার সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের আদালত অবমাননার জবাব দাখিলের শুনানি আপিল বিভাগের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি হয়। ওই দিন শুনানি মুলতবি করে পরের দিন আবারো শুনানি করে মামলাটি রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।

শুনানিতে জনকণ্ঠের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সালাহউদ্দিন দোলন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুনানিতে আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন, জনকণ্ঠের প্রতিবেদনে আদালত অবমাননার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। এখানে একজন বিচারপতিকে নিয়ে বলা হয়েছে। পুরো বিচার বিভাগ আপিল বিভাগ হাইকোর্টে কোনো কিছুকে জড়িয়ে কথা বলা হয়নি। আমি আশা করি সত্য কথা বলা আদালত অবমাননা নয়। আশা করি ন্যায় বিচার পাবো।

অপরদিকে শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায় ঘোষণার আগেই দৈনিক জনকণ্ঠ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা আদালত অবমাননার শামিল। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে রায়কে প্রভাবিত করা হয়েছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

তিনি বলেন, একজন বিচারপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির কথার যে রেকর্ড করা হয়েছে তা শুধু আদলত অবমানাই নয় এটি তথ্য-প্রযুক্তি আইনেরও বিরোধী।

গত ২৯ জুলাই বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের পরে দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে তলব করে স্ব-প্রণোদিত আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আদালত অবমাননার দায়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না-তাদেরকে ৩ আগস্ট হাজির হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী তারা গত ৩ আগস্ট আপিল বিভাগে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দাখিলে সময় প্রার্থনা করেন।

১৬ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠে ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা/পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে উপসম্পাদকীয় লেখেন স্বদেশ রায়। সে লেখায় সাকা চৌধুরীর আপিল মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কথা উল্লেখ করা হয়। জনকণ্ঠের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে।

২৯ জুলাই সাকা চৌধুরীর আপিলেও মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার রায়ের পরপরই জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদককে তলব করে আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে জনকণ্ঠের এ দুই সাংবাদিককে কেন দণ্ড দেয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেন আদালত।

এফএইচ/বিএ