বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার শুনানি ১ অক্টোবর
দেশের বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানি মুলতবি হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ০১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানির একপর্যায়ে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, ‘আপনারা যে প্রক্রিয়ায় বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার সুবিধা চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে তো বিরোধিতার সুযোগ রয়েছে।’
আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান ও অ্যাডভোকেট এম জে আক্তার জাকির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
শুনানিতে আদালত খালেদা জিয়ার আইনজীবীর কাছে জানতে চান, আপনারা কি রুল চান? তখন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, শুনানি শেষে আমরা আদালতের কাছে একটা অর্ডার চাই। তখন আদালত বলেন, ‘এখন তো ভ্যাকেশন কোর্ট, অল্প সময় কোর্ট চলবে। আপনাদের এটা বিস্তারিত শুনতে গেলে অন্য আইনজীবীদের ম্যাটারগুলো শোনা হবে না।’
এ পর্যায়ে আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল প্রবেশ করেন। তখন খালেদার জিয়ার আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বিরোধিতা না করলে এখনই একটা অর্ডার দিতে পারেন।’ তখন আদালত বলেন, ‘আপনারা যে প্রক্রিয়ায় বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে তো বিরোধিতার সুযোগ রয়েছে।’
এরপর আদালত বলেন, ‘আমরা উভয়পক্ষের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনবো। এ জন্য ১ অক্টোবর শুনানির জন্য রাখছি।’
এর আগে, ৯ সেপ্টেম্বর দেশের বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। রিটে এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গত ৪ সেপ্টেম্বর কারাগারে বিশেষ আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচার নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদরাসা এবং সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত এলাকাটি জনাকীর্ণ থাকে। নিরাপত্তাজনিত কারণে বিশেষ জজ আদালত-৫ নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে আদালত হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
ওই আদালতে বিচার চলাকালীন খালেদা জিয়া বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি অসুস্থ। পা ফুলে যায়। আপনারা যা ইচ্ছা রায় দেন। আমি আর আসতে পারবো না।’
এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার সঙ্গে দেখা করেন। পরে তারা গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার জন্য খালেদা জিয়া তাদের জানিয়েছেন।
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেকের দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করে রায় দেন আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।
এফএইচ/এমএআর/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ চাঁদাবাজির সত্যতা মেলেনি: তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ
- ২ শিবিরের ৪ নেতাকে হাত ও চোখ বেঁধে গুলি করে পঙ্গু করা হয়
- ৩ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- ৪ সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডিজিকে সরিয়ে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
- ৫ যুবদল নেতা হত্যা: রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক শেখ জামাল