ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

এ মুহূর্তে ডাকসু নয়, জাতীয় নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, সমগ্র জাতি তাকিয়ে আছে জাতীয় নির্বাচনের দিকে। জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন না হলে অন্যান্য নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হবে না বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে। এ কারণে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ডাকসু নির্বাচনের জন্য হাইকোর্টের আদেশ দেয়ার পরও নির্বাচন না করায় ভিসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা রিটের শুনানি তালিকা থেকে বাদ দেয়ার পর সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের একথা বলেন।

মাহবুবে আলম বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে একটি রিট হয়েছিল। ওই রিটের রায়ে আদালতের নির্দেশ পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে (১৬ সেপ্টেম্বর) গতকালই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেছেন, ২০১৯ সালের মার্চের ভেতরে নির্বাচন করার সমস্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের জাতীয় নির্বাচন চলে এসেছে।

যেহেতু ভিসি বলেছেন ৩১ মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন হবে, এই বিষয়টিই আমি আদালতকে অবহিত করেছি। আদালতে বলেছি, এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচনের প্রশ্নটিই বড়। যে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা, বিশেষ করে ছাত্রদের নির্বাচনের প্রশ্নে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা হলে জাতীয় নির্বাচনে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। জাতীয় নির্বাচনই এখন গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদটি আসায় এবং আমার বক্তব্য শুনে আদালত এই পিটিশনটা আপাতত তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। আদালত খোলার পরে এই আবেদনের শুনানি হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো এই সময় সমগ্র জাতি তাকিয়ে আছে জাতীয় নির্বাচনের দিকে। এখন জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন না হলে অন্যান্য নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হবে না। সে জন্যই তারা বলেছেন, ৩১ মার্চের মধ্যে নির্বাচন হবে।

৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আপিলের বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘লিভ টু আপিল’সব সময়ই করতে পারে, এটা নির্বাচন বানচালের জন্য না। এটা করার পেছনে উদ্দেশ্য থাকতে পারে সময় বাড়ানোর।

এর আগে আদালত অবমাননার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এফএইচ/জেএইচ/এমএস

আরও পড়ুন