ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

দুদকে উপস্থিত হতেই হবে আমীর খসরুকে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:১৭ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দুদকে হাজির হওয়ার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের রিট খারিজের হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিতের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি (নো অর্ডার) আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত।

এরে ফলে আমীর খসরুকে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হতেই হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

একই সঙ্গে এ বিষয়ে আগামী ১ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন চেম্বারজজ আদালত।

সোমবার আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পক্ষে করা আপিল আবেদন শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর চেম্বারজজ আদালত এই আদেশ দেন।

আদালতে আমীর খসরুর পক্ষে আজ শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এর আগে গতকাল (১৬ সেপ্টেম্বর) আমীর খসরু মাহমুদকে দুদকে হাজির হওয়ার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন তার আইনজীবী।

গত ৫ সেপ্টেম্বর আমীর খসরু মাহমুদকে দুদকে হাজির হওয়ার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট কার্য তালিকা থেকে বাদ দেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ। এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর আমীর খসরুকে দুদকে হাজির হওয়ার নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

গত ১৬ আগস্ট অবৈধ লেনদেন, মুদ্রা পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ২৮ আগস্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।

উচ্চ আদালতে রিট মামলা বিচারাধীন থাকার কারণ দেখিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ এখন পর্যন্ত দুদকে হাজির হননি। আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চেয়েছেন তিনি।

দুদকের চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার এবং নিজে, স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নামে শেয়ার ক্রয়সহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আমীর খসরুর চট্টগ্রামের চকবাজার থানার মেহেদীবাগের বাসায় ঠিকানায় এ নোটিশ পাঠানো হয়। দুদক পরিচালক কাজী শফিকুল আলম এই অভিযোগের অনুসন্ধান করছেন।

এফএইচ/এমএমজেড/জেআইএম

আরও পড়ুন