মুদ্রা পাচার : বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৯ জনের দশ বছরের কারাদণ্ড
মুদ্রা পাচারের অভিযোগে রাজধানীর নিউ মার্কেট থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, চেয়ারম্যান নওরিন হাসিবসহ নয়জনকে দশ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আতাবুল্লাহ সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ১৫ কোটি ৩৩ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৬ টাকা জরিমানা করেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক ও খাজা সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন এবং জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ খান ও এস এম শোয়েব-উল-কবীর।
দণ্ডিত ৯ আসামিই মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। দুদকের আদালতের কোর্ট পরিদর্শক আশিকুর রহমান বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা এ মামলায় ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। বিভিন্ন সময়ে ২৪ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
একাধিক ব্যাংক থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা মুদ্রা পাচার, ঋণ জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর বিসমিল্লাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরিন হাসিব, ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা সোলায়মান চৌধুরীসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে দুদক।
রাজধানীর রমনা, মতিঝিল ও নিউমার্কেট থানায় এসব মামলা করেন দুদক পরিচালক ইকবাল হোসেন। ২০১৫ সালের বিভিন্ন সময়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
জেএ/এমআরএম/এসএইচএস/এমএস