ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠন শুনানি ১৮ অক্টোবর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৪৩ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানি ফের পিছিয়ে আগামী ১৮ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। অন্যদিকে দুর্নীতির অপর এক মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টেরও ইস্যু করেছেন আদালত।

বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার এ আদেশ দেন।

আজ (বৃহস্পতিবার) মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া হাজিরা দিলেও মামলার অন্য আসামি তানভীর আহমেদ এবং গালিব হোসেনের পক্ষে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় অভিযোগ শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে এই দিন ধার্য করেন।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৮ অক্টোবর ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এ বিষয়ে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলায় প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের প্রয়োজন নেই। খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন এটা আদালতকে অবহিত করা হয়েছে।

শুনানি শেষে বিচারক চার্জ গঠনের শুনানি আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দেন এবং ওইদিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যুর আদেশ দেন।

এর আগে মামলাটিতে ২০১৬ সালের ৫ মার্চ একই আদালতে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০১৫ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট খালেদা জিয়া দুটি রিট খারিজ করে দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু আসামি তানভির, গালিব, শাহাদত ও সানোয়ারের পক্ষে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় মামলায় চার্জ শুনানি করতে পারছেন না আদালত।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১৩ মে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ছয়জন মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূৎইয়া, এমকে আনোয়ার, জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো।

অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপিদলীয় সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (অব.) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এএসএম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এএম সানোয়ার হোসেন, ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।

চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে সরকারের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া গ্যাটকোকে ঠিকাদারী কাজ পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে অবৈধভাবে আরাফাত রহমান কোকো ও ইসমাইল হোসেন সায়মন ২ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩৬ টাকার আর্থিক সুবিধা নেন।

জেএ/এফএইচ/এমআরএম/পিআর

আরও পড়ুন