ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

হুইল চেয়ারে বসে খালেদা বললেন, ‘বেশিক্ষণ থাকতে পারবো না’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৪২ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে বন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে বিএনপির কোনো আইনজীবী উপস্থিত না হওয়ায় পরবর্তী শুনানি ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন আদালত।

এদিন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়। হুইল চেয়ার বসিয়ে তাকে আনা হয়। পরনে ছিল বেগুনি রঙের শাড়ি। চেয়ারে বসা অবস্থায় তার পায়ের ওপরের অংশ থেকে নিচ পর্যন্ত সাদা চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল।

মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া আদালতের অনুমতি নিয়ে শুনানিতে নিজের অসন্তোষের কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ। আমি বারবার আদালতে আসতে পারবো না। বেশিক্ষণ থাকতেও পারবো না। আর এভাবে বসে থাকলে আমার পা ফুলে যাবে। আমার সিনিয়র কোনো আইনজীবী আসেনি। এটা জানলে আমি আসতাম না।’

তিনি বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এখানে ন্যায়বিচার নেই। যা ইচ্ছা তাই সাজা দিতে পারেন। যত ইচ্ছা সাজা দিতে পারেন।’

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, আজ এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হয়। এরপর থেকে অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে এখন পর্যন্ত আদালতে হাজির করা যায়নি। তার অসুস্থতা ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কারাগারে আদালত বসানোর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনটি যথাযথভাবে আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়াকে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। অন্য আইনজীবীদের ব্যক্তিগতভাবে আজকের শুনানির বিষয়ে জানানো হয়েছে।’

শুনানি শেষে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামিদের জামিন ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল রেখে সেই দুদিন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গতকাল মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে ‘আদালত’ ঘোষণা করে সেখানেই দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার শুনানির নির্দেশ দেয়া হয়।

কারাগারের আরেকটি ভবনের দোতলার একটি কক্ষে গত সাত মাস ধরে বন্দী রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এতিমখানা দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি একই বিচারক তাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন।

প্রথম দিনের শুনানি শেষে কারাফটকে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের পক্ষের আইনজীবী মোশররফ হোসেন কাজল বলেন, কারাগারের প্রশাসনিক ব্লকে আদালত বসে। আদালতে খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। তিনি হুইল চেয়ারে বসে আসেন। তিনি আদালতকে বলেন যে, ‘পায়ের ব্যথার কারণে তিনি বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারবেন না।’

বিএনপির আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন।

আদালতে উপস্থিত না হওয়া প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, সরকার আদালত স্থানান্তরের গেজেট প্রকাশ করেছে। কিন্তু সেটা পূর্বে স্থাপিত আদালতেই জানাতে হবে। তাই আমরা উপস্থিত হয়নি।

এআর/এমএআর/পিআর

আরও পড়ুন