সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় রমনা শাখার সোনালী ব্যাংকের সাবেক উপ-হিসাবরক্ষক শামসুদ্দিন আহাম্মেদ চৌধুরী ওরফে আব্দুল হান্নান চৌধুরীকে ১৩ বছরের দণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও দুই বছর সশ্রম কারাভোগ করতে হবে। আর দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারায় সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
শামসুদ্দিন আহাম্মেদ চৌধুরী ওরফে আব্দুল হান্নান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ ওয়ারেন্ট ইস্যু করার আদেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খান এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী এমএ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার ও আসামিপক্ষে ছিলেন শাহ নেওয়াজ শাহীন।
মামলার অপর দুই আসামি মোকাদ্দেস আলী খাদেম (আব্দুল হান্নান চৌধুরীর শ্যালক) ও সৈয়দ আহাম্মেদ খন্দকারের (সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রাক্তন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেন। এদের মধ্যে মোকাদ্দেস আলী খাদেম রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে সৈয়দ আহাম্মেদ খন্দকার পলাতক রয়েছেন।
সূত্র জানায় , আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ১৯৯০ সালের বিভিন্ন তারিখে ভুয়া জমাদানের মাধ্যমে প্রতারণামূলকভাবে এক লাখ ৬১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। ১৯৯১ সালের ৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে এক লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে সর্বমোট ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
ওই ঘটনায় এজিএম শফিউদ্দিন আহম্মেদ রমনা থানায় মামলাটি করেন। ১৯৯৬ সালের ২১ মে রমনা থানার এসআই আমিনুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ১ মার্চ আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এরপর তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (বর্তমানে যার নাম দুদক) পরিদর্শক এসএম আখতার হামিদ ভূঁইয়া মামলাটি তদন্ত করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন।
জেএ/এফএইচ/জেডএ/পিআর