ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ঢাকার মানহানি মামলায় খালেদার জামিন স্থগিত করেননি চেম্বার জজ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০১৮

মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বির্তকিত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকায় করা মানহানির মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদনের ওপর নো অর্ডার (কোনো আদেশ নয়) দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।

একইসঙ্গে, আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে আগামী ১ অক্টোবর শুনানির দিন নির্ধারণ করে দেন আদালত।

চেম্বার জজ আদালতের এই আদেশের ফলে আপাদত নড়াইলের মামলায় খালেদার জামিন বহাল থাকছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালতে এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির ও ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল এমএ কামরুল ইসলাম খান আসলাম।

অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরোদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল ও একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে ঢাকার সিএএম কোর্টে করা মানহানির মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের জামিন স্থগিত চেয়ে গত ১৯ আগস্ট আপিল আবেদন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ কামরুল ইসলাম খান আসলাম।

এর আগে নড়াইলের মামলায় ১৪ আগস্ট (মঙ্গলবার) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত ৭ আগস্ট ঢাকার একটি আদালত এই মানহানির মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশে খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে’ বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’

তার ওই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়।

২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এ বি সিদ্দিকী মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।

এফএইচ/এমবিআর/পিআর

আরও পড়ুন