দুই মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আগাম জামিন
নাশকতায় উস্কানি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই জামিন আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন এজে মোহাম্মদ আলী, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো. মাহবুবুর রহমান খান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একে এম মনিরুজ্জামান।
পরে আইনজীবী মাহবুবুর রহমান খান জানান, বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত গত ৫ আগস্ট ঢাকায় দায়ের করা মামলায় ৭ (সাত) সপ্তাহের ও ৪ আগস্ট চট্টগ্রামে দায়ের করা মামলায় ৬ (ছয়) সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
প্রসঙ্গতঃ শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন চলাকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি অডিও ভাইরাল হয়। ওই অডিওতে ঢাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে লোকজন নামানোর জন্য নওমি নামে একজনকে নির্দেশ দেন তিনি।
এরপর তার বিরুদ্ধে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগ এনে গত ৪ আগস্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলায় দুটি পৃথক ধারায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
সঞ্জয় পাল বলেন, ‘নগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার সহযোগীদের আসামি করা হয়। এজাহারে আসামির বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে (৫৭ ধারা) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে (১৫ ধারা) অভিযোগ আনা হয়।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন। ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশে তিনি উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
অপরদিকে একই ধরনের অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় গত ৫ আগস্ট আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
এফএইচ/এমএমজেড/জেআইএম