ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

শিশু রাইফার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০১৮

চট্টগ্রামের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু রাইফা খানের মৃত্যর ঘটনায় তার পরিবারকে কেন যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে, চিকিৎসায় অবহেলায় জড়িত থাকায় হাসপাতালসহ ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া চিকিৎসায় অবহেলা বা ভূল চিকিৎসায় মারা গেলে বা ক্ষতিগ্রস্থ হলে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য কেন নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল), বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি, ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট ৩ চিকিৎসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রাইফার বাবা সাংবাদিক মোহাম্মদ রুবেল খানের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ এনাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যঅটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

এর আগে গত ৯ আগস্ট রিট আবেদন দায়ের করেন সাংবাদিক রুবেল খান।

গত ২৮ জুন জ্বর ও গলা ব্যথা নিয়ে চট্টগ্রামের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে আড়াই বছরের শিশু রাইফাকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তির ৩০ ঘণ্টা পর মারা যায় শিশু রাইফা। চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে অভিযোগে তোলপাড় হলে ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. আজিুর রহমান সিদ্দিকীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়।

ওই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুটির রোগ নির্ণয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ প্রয়োগ যথাযথ থাকলেও অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বিধান রায় চৌধুরী, ডা. দেবাশিষ সেন গুপ্ত ও ডা. শুভ্র দেব শিশুটির রোগ জটিলতাকালীন কর্তব্যে অবহেলা করেছেন। রাইফার যখন খিঁচুনি হয় তখন তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার মতো অভিজ্ঞতা কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের ছিল না।

এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া প্রতিবেদনে ম্যাক্স হাসপাতালের নানা অনিয়ম ও ত্রুটি নিয়ে ১১টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। ১৫০ শয্যার এ হাসপাতালে লাইসেন্স নবায়নে ত্রুটি, হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর কোনো নিয়োগপত্র না থাকা, প্যাথলজি বিভাগ ও চিকিৎসকের কোনো তথ্য নেই বলে জানানো হয়।

এফএইচ/এমবিআর/জেআইএম

আরও পড়ুন