ইসহাক শিকদারসহ ৫ জনের ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পটুয়াখালীর ইসহাক শিকদারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আমীর হোসেন ও আবু আহমেদ জমাদার।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাচঁ আসামি হলেন- মো. ইসহাক সিকদার, আব্দুল গনি, মো. আউয়াল, মো. আব্দুস সাত্তার প্যাদা এবং সোলায়মান মৃধা। গত ৩০ মে এ মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষ হয়।
সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালের ৩৪তম এ মামলায় রায় পড়া শুরু হয়। ১৫৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পড়েন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার, পরের অংশ পড়েন মো. আমীর হোসেন এবং রায়ের সমাপ্ত ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান বিচারপত মো. শাহিনুর ইসলাম। রায় পড়ার সময় ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় পাঁচ আসামির সবাই উপস্থিত ছিলেন।
মামলার (আইও) তদন্ত কর্মকর্তাসহ মোট ১১ জন আসামিদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জন মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিদের মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আর তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া বাকি সাক্ষীরা ভুক্তোভোগী পরিবারের সদস্য। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে গত ৩০ মে মামলাটির রায় যেকোনো দিন ঘোষণা করা হবে মর্মে অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন।
২০১৭ সালের ৮ মার্চ পটুয়াখালীর এ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ১৫ নারীকে ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে এখনও ৮ জন বীরাঙ্গনা জীবিত আছেন। এর ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেন প্রসিকিউশন।
মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর। ১ বছর ৫ মাস ৯ দিন তদন্ত করে ৫০৮ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন রায়। মামলার অভিযোগ প্রমাণের জন্য ৫১ জনের জবানবন্দি নেয়া হয়েছে, যারা সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।
২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পর ১ অক্টোবর তাদের গ্রেফতার করা হয়। ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এর ভিত্তিতে ১৩ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেন প্রসিকিউশন।
এফএইচ/আরএস/জেআইএম