খনি দুর্নীতি : খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৩ সেপ্টেম্বর
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার রাজধানীর বকশিবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান এ দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিংকোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
উল্লেখ্য,৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড.আখতারুজ্জামান। এই মামলায় অন্য আসামি খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আদালত বলেছেন, বয়স ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় কম সাজা দেয়া হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। রায়ের পরই নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেয়া হয় বেগম জিয়াকে। দণ্ডবিধি ১০৯ ও ৪০৯ ধারায় খালেদা জিয়াসহ বাকিদের সাজা দেয়া হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সব আসামিকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
জেএ/এনএফ/এমএস