শহিদুল আলম রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছে : অ্যাটর্নি জেনারেল
নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলন নিয়ে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
চেম্বারজজ আদালতে শহিদুল আলমকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়ার জন্য হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যাকে আইনের সমস্ত রকম ফর্মালিটিজ দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তার অপরাধটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো অপরাধ। সে বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশ সম্পর্কে নানা রকম অসত্য কথা বলেছে, উসকানিমূলক কথা বলেছে। সরকার পতন হয়ে যায় এ রকম কথা বলেছে। কাজেই এই লোককে আপনার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে এটাই স্বাভাবিক।
মাহবুবে আলম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়ার প্রার্থনা করা হয়েছে। যদিও সে সম্পূর্ণ সুস্থ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের হয়ে তিনি কাজ করেছেন এ কথা আমি আদালতে বলেছি। যারা এ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না।
তিনি বলেন, আমি বলেছি, যেকোনো আসামিকে রিমান্ডের নেয়ার ক্ষমতা আইনে পুলিশকে দেয়া হয়েছে। এটাকে ব্যাহত করার জন্য তার অসুস্থতার কথা বলে বঙ্গবন্ধুতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যাতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে না পারে।
আদালতে শহিদুল আলমের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষে আবেদন শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও অমিত তালুকদার। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান, শাহদীন মালিক, সারা হোসেন প্রমুখ।
শুনানির শুরুতে আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শহিদুল আলমকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হাইকোর্টের আদেশ যথাযথ হয়নি। হাসপাতালে নেয়ার মতো অবস্থা হয়নি। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কাজ করেছে। তাই হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চাইছি।
এ সময় শহিদুল আলমের আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান আদালতকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চাচ্ছেন? হাইকোর্টের আদেশ তো ইতোমধ্যে বাস্তাবায়ন হয়েছে, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় স্থগিত চেয়ে কী হবে?
পরে আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শহিদুল আলমকে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত না করে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ঠিক করেন।
এফএইচ/বিএ