বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু : প্রতিবেদন ৫ সেপ্টেম্বর
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজশিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম এইচ এম তোয়াহা এজহারটি গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
রোববার রাতে নিহত শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা নং ৩৩।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্যান্টনমেন্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, মামলার আসামি অজ্ঞাত। তবে মামলার এজহারে দুর্ঘটনার জন্য জাবালে নূর বাসের চালক ও চালকের সহকারীকে দায়ী করা হয়েছে।
ওসি সাহান হক জানান, এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা যায়নি। বাসটির চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। মামলায় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল রোববার (২৯ জুলাই) দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতি সম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিমিষেই ওঠে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর। চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজন। এছাড়া আহত হন আরও ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী।
ওই দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া দুইজন হলেন- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত দিয়া খানম মীমের বাবার নাম জাহাঙ্গীর আলম। তাদের বাড়ি মহাখালী দক্ষিণপাড়ায়। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিমের বাবার নাম মৃত নূর ইসলাম ও মা মহিমা বেগম। তাদের বাড়ি উত্তরা আশকোনা এলাকায়।
দুর্ঘটনার পর রাস্তা অবরোধ করে অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা ও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এ সময় কয়েকটি বাসে আগুনও ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে ট্রাফিক ও ক্রাইম ডিভিশনের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
জেএ/জেএইচ/এমএস