ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

আদালত অবমাননা : জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৪৯ পিএম, ২৫ জুলাই ২০১৮

আদালত অবমাননার অভিযোগে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার আদালত অবমাননার মামলায় হামিদুর রহমান আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। এই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যন বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, গোলাম রহমান ভূঁইয়া, মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ও আল রেজা মো. আমীর।

এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেন হামিদুর রহমান। এরপর তার পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে আদালত অবমাননার মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে হামিদুর রহমান আযাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি এক বক্তৃতার ঘটনায় সেই মাসের ৭ তারিখ আদালত অবমাননার অভিযোগে ২০ ফেব্রুয়ারি তলব করা হয়।

তিনি জানান, তখনকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে তিনি আত্নসর্পণ করেননি। যদিও এখন পযন্ত পরিস্থিতি পাল্টায়নি। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং আমরা তার পক্ষে জামিন আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে আমরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দণ্ড থেকে খালাস এবং তার জামিন চেয়ে আপিল করবো। আশা করি তিনি মুক্তি পাবেন।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও রায় নিয়ে ২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন জামায়াতের এই নেতা। পরে তাকে ট্রাইব্যুনালে তলব করা হয়। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির না হয়ে পলাতক ছিলেন। পলাতক অবস্থায় তার বিরুদ্ধে তিন মাসের কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা হয়। একই সঙ্গে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। আজ (বুধবার) তাকে ওই কারাদণ্ডে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মতিঝিলে এক সমাবেশে জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দিন বলেছিলেন, ‘দেশকে গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচাতে হলে বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ একই সমাবেশে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘এ ট্রাইব্যুনাল আর এক মুহূর্তও চলতে পারে না।’ এছাড়া রফিকুল ইসলাম খান একই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রেস ব্রিফিং করে ট্রাইব্যুনালের বিচারাধীন বিষয়ে বক্তব্য দেন। তাদের ওইসব বক্তব্য একাধিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এরপর ট্রাইব্যুনাল ৭ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন। কিন্তু এই তিন নেতার কেউ-ই ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে রুলের জবাব না দেয়ায় ট্রাইব্যুনাল ওই বছরের ৬ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

পরে সেলিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এর মধ্যে জামায়াতের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, তৎকালীন এমপি হামিদুর রহমান আযাদের তিন মাসের কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। অনাদায়ে আরও দুই সপ্তাহ কারাদণ্ড। অপর নেতা সেলিম উদ্দিনকে ট্রাইব্যুনাল চলাকালে পুরো সময় সেখানে হাজির থাকা (কারাদণ্ড) ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওইদিন ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়- রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমানকে গ্রেফতারের পর বা তাদের আত্মসমর্পণের পর থেকে সাজা কার্যকর হবে।

এফএইচ/আরএস/এমবিআর/আরআইপি

আরও পড়ুন