হলি আর্টিসানের চার্জশিট আদালতে
হলি আর্টিসানের চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে গুলশান থানার আদালতের জিআর শাখায় এই চার্জশিটটি দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ওসি হুমায়ুন কবীর।
এর আগে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসানে হামলার ঘটনার চার্জশিটে ২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৩ জন নিহত ও বাকি ৮ জনের মধ্যে ৬ জন কারাগারে আটক রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, হলি আর্টিসানের খসড়া চার্জশিট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। সেখানে অনুমোদিত হলে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চার্জশিটে ২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে ও ৫ জন হলি আর্টিসানেই নিহত হয়েছেন। এছাড়া জীবিত ৮ জনের মধ্যে ৬ জন কারাগারে ও বাকি দুইজন পলাতক রয়েছেন।
গুলশানে হলি আর্টিসানে সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ নিহত পাঁচজন হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত আটজন হলেন- তামীম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং হাদিসুর রহমান সাগর।
এছাড়া পলাতক দুই আসামি হলেন- শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে।
জেএ/এসএইচএস/এমএস