কুমিল্লার এক মামলায় খালেদার জামিনের আদেশ সোমবার
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আবেদনের জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার একে এম এহসানুর রহমান।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
ব্যারিস্টার একে এম এহসানুর রহমান জানান, বোমা হামলার ঘটনায় প্রথমে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়। তারপর বিধি পরির্বতন করে সেটি নাশকতার মামলায় রূপান্তর হয়। সেই মামলায় নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করা হয় গত ১৮ জুলাই। একইসঙ্গে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এই মামলায় জামিনও চাওয়া হয়।
ওইদিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল আবেদন করেন।
একে এম এহসানুর রহমান জানান, এ মামলায় গত ১ জুলাই বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন কুমিল্লার একটি আদালত। তবে, সেই আদালতে জামিন চেয়ে করা আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৮ আগস্ট শুনানির দিন ঠিক রয়েছে। যেহেতু খালেদার জামিন না দিয়ে এবং আবেদন নিষ্পত্তি না করে শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ঠিক করা হয়েছে, সেহেতু বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে আপিল করা হয়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, এ মামলায় গত ১ জুলাই খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৮ আগস্ট বহাল রাখেন কুমিল্লার আদালত। এরপর খালেদা জিয়া হাইকোর্টে এ মামলায় জামিন আবেদন করেছেন। এ আবেদন রোববারের (কজলিস্টে) কার্যতালিকায় রয়েছে।
উল্লেখ্য কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে হত্যা ও নাশকতার পৃথক দুই মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর গত ১৬ জুলাই আংশিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এরপর মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন হাইকোর্ট।
এফএইচ/এমআরএম/পিআর