ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

মৌলভীবাজারের চারজনের ফাঁসির আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ১৭ জুলাই ২০১৮

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের রাজনগর থানার মো. আকমল আলী তালুকদারসহ চারজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা ঘোষণা করেন।

আসামিরা হলেন- আকমল আলী তালুকদার (৭৬), আব্দুর নুর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া (৬২), আনিছ মিয়া (৭৬) ও আব্দুল মোছাব্বির।

আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত দুটি অভিযোগই আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। প্রথম অভিযোগ ৬১ জনকে হত্যায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও দ্বিতীয় অভিযোগে তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ২৭ মার্চ মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ হলে রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর হায়দার আলী ও শেখ মুশফেক কবীর। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার। এছাড়া পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন আবুল হোসেন।

গত বছরের ৭ মে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা- গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, মরদেহ গুম, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দু’টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে আনুমানিক ১০২টি পরিবারের ১৩২টি ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ৬ জনকে ধর্ষণ, ৭ জনকে অপহরণ ও ৬১ জনকে হত্যার অভিযোগ।

একাত্তরের ৭ মে থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ও পশ্চিমভাগ গ্রামে তারা এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়। ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর ওই চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

ওই দিনই রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে আকমল আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। তিনি মৌলভীবাজার টাউন সিনিয়র কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ।

এছাড়া আকমল আলী তালুকদারকে ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। চারজনই মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার বাসিন্দা।

এফএইচ/আরএস/জেআইএম

আরও পড়ুন