‘আইও ছাড়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলেননি’
‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রথম সাক্ষী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) হারুন অর রশিদ ছাড়া আর কেউ কিছু বলেননি।’ এমন মন্তব্য করেছেন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান। রোববার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে আইনজীবী আদালতে এ তথ্য জানান।
এ মামলার সাজা থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির ওপর হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এমন দাবি করেন আব্দুর রেজাক খান।
তিনি বলেন, ‘মামলার প্রথম সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ছাড়া অন্য কোনো সাক্ষী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছুই বলেননি। এ মামলার প্রথম অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নুর আহম্মদ যে অনুসন্ধান রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন তার বাইরে। প্রথম অনুসন্ধান প্রতিবেদনের বিষয়বস্তুর ভেতরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু উল্লেখ ছিল না।’
‘তিনি (হারুন অর রশিদ) অনুসন্ধান রিপোর্টের বাইরে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ব্যাংকের হিসাব খোলাসহ কোনো ডকুমেন্টে খালেদা জিয়ার নাম নেই।’
এদিন প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দি পড়া শেষে মামলার কার্যক্রম আগামীকাল সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
দুপুর ২টার দিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিলের শুনানি শুরু হয়। শুরুতে আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মাদ আলী বলেন, ‘এ আপিলের পেপারবুক অসম্পূর্ণ। এ অবস্থায় মামলার শুনানি করা যায় না।’ এ পর্যায়ে আদালত দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের বক্তব্য শোনেন। পরে সম্পূরক পেপারবুকের বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, মীর মো. নাসির, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরোদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, ফারুক হোসেন, মাসুদ রানা, এ কে এম এহসানুর রহমান ও ফাইয়াজ জিবরান প্রমুখ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন চান খালেদা জিয়া। সেই আপিল শুনানি শুরু হয় গত ১২ জুলাই। আজ দিত্বীয় দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এফএইচ/এমএআর/আরআইপি