ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

চিকিৎসকদের কর্মবিরতি : নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিটের আদেশ মঙ্গলবার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৩৩ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৮

যে কোনো পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি ডাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা রিটের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

রিটের শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশের জন্য এদিন নির্ধারণ করেন।

আদালতে এদিন রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারীর আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ।

শুনানির শুরুতে আদালত আবেদনটি সংশোধন করে আনতে বলেন। আইনজীবী এ সময় সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানি না নিয়ে ‘নট টু ডে’ আদেশ দেন।

এর আগে হিউম্যান রাইটস ল'ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম রিটটি দায়ের করেন। রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়।

রিটে দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ এর ১৪ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়।

ওই ধারায় বলা হয়েছে, ডিজি হেলথ অথবা তার মনোনীত কোনো কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোনো আদালত এ অধ্যাদেশের অধীন কোনো অপরাধ আমলে নিতে পারবেন না।

রিট আবেদনে ৩০ দিনের মধ্যে সব অনুমোদিত এবং অনুমোদনহীন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যন্ত্রপাতিসহ তালিকা দাখিল, সব জেলা সদরের হাসপাতালে ৩০ বেডের আইসিইউ/সিসিইউ স্থাপন, মেয়াদহীন ওষুধ ব্যবহারে প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিএসটিআই অনুমোদিত ওষুধ ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

আইনজীবী ড. বশির আহমেদ বলেন, চিকিৎসা সেবা একটি মহান পেশা। এর সঙ্গে মানুষের জীবন-মৃত্যুর সম্পর্ক জড়িত। এ পেশায় যারা কাজ করেন, তারা কিছু হলেই কর্মবিরতির ডাক দেন। সাধারণ মানুষকে এভাবে জিম্মি করে কর্মবিরতির ডাক দেয়া বেআইনি। এ কারণে তাদের কর্মবিরতি বন্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

এফএইচ/এমএআর/আরআইপি

আরও পড়ুন