ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

খালাস চেয়ে খালেদার আপিলের পরবর্তী শুনানি সোমবার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:১৬ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৮

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বাকি আসামিদের আপিল ও সাজা বাড়াতে দুদকের আবেদনের শুনানি আগামী সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার মামলার প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দি পড়া শেষে আগামীকাল সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন আদালত।

সোমবার বেলা ২টার দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ শুনানি হয়। আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও এ জে মোহাম্মাদ আলী। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এক বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আজ ছিল দ্বিতীয় দিনের শুনানি। আজ শুনানি নিয়ে আদালত পরর্বতী শুনানির জন্য এই আদেশ দেন।

এ ছাড়া আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরোদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান খান, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান, ফাইয়াজ জিবরান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে, খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি তারা জামিনের আবেদন করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করা হয়।

৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত।

মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পর খালেদা জিয়াকে ১২ মার্চ চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর গত ১৬ মে তা বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিকে এ মামলায় খালেদা জিয়ার চার মাসের জামিনের মেয়াদ গত (১২ জুলাই) শেষ হয়। তার পরে ১৯ জুলাই পর্যন্ত খালেদার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

এফএইচ/জেডএ/জেআইএম

আরও পড়ুন