ঢাবি-রাবির ভিসি-প্রক্টর-রেজিস্ট্রারকে লিগ্যাল নোটিশ
>> ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়াসহ ১৩ আইনজীবীর নোটিশ
>> ছাত্রলীগকর্মীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে?
>> ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে রিট
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং তাদের মারধরের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার জেনারেলকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ১৩ আইনজীবী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত চার শিক্ষার্থী এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থী তরিকুলসহ মোট পাঁচ শিক্ষার্থীর পক্ষে রোববার দুপুরে ডাক ও রেজিস্ট্রি যোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়াসহ ১৩ আইনজীবী এ নোটিশ পাঠান। ঢাবির আহত চার শিক্ষার্থী হলেন- মো. ফারুক হাসান, মো. মশিউর রহমান, জসিম উদ্দিন ও রাশেদ।
আরও পড়ুন >> নিপীড়নবিরোধী কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে হামলা
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জাগো নিউজকে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কোটা সংস্কারের দাবিতে বেশকিছু দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালান। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
‘কিন্তু হামলাকারীদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অবগত থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যা সম্পূর্ণভাবে অপ্রত্যাশিত এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। এতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, আপনারা (বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ) পদে থাকার উপযুক্ত নন।’
নোটিশে বলা হয়, ‘কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন-হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা তো দূরে থাক, হামলায় আহতদের সঠিক চিকিৎসা দেয়া হয়নি। তাই সংশ্লিষ্টদের প্রতি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে রিট করা হবে।’
আরও পড়ুন >> ভিসির বাড়িতে হামলাকারীদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘গত ৩০ জুন ও ১ জুলাই ওই হামলার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তা নোটিশপ্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ (রিট) করা হবে।’
‘আমাদের মক্কেলরা (নোটিশ প্রদানকারী) সচেতেন নাগরিক হিসেবে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেন। তারা বিগত কয়েক মাসের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেকের সমর্থন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ আন্দোলনকে একটি বৈধ আন্দোলন হিসেবে উল্লেখ করায় আমাদের মক্কেলরা আরও উৎসাহিত হন।’
নোটিশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়।
এফএইচ/এসআর/এমএআর/আরআইপি