অবসরে গেলেন বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমান
অবসরে গেলেন সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমান। বুধবার (৪ জুলাই) ছিল বিচারপতি হিসেবে তার শেষ কর্মদিবস। শেষ কর্মদিবসে সংশ্লিষ্ট এজলাস কক্ষে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়। এরপর বিকেলে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের পক্ষ থেকে আলাদা বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনার জবাবে তিনি বলেন, ‘এই অঙ্গনে আমি ১৫ বছর ধরে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি চেষ্টা করেছি সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন করার। অবসরে গিয়েও যেন আইন জগতে অবদান রাখতে পারি, সেই দোয়া আপনাদের কাছে প্রত্যাশা করি।‘
এ সময় তাকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাফিজ উল্লাহ, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বিকেল সাড়ে ৪টায় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের পক্ষ থেকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। সুপ্রিমকোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বিচারপতির সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সভাপতিত্ব করেন। বিদায় সংবর্ধনা পরিচালনা করেন হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন। অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সকল বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন।
বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমান ১৯৮২ সালে হাইকোর্টে এবং ২০০০ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৩ সালে তাকে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
২০০৫ সালে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। বিচারপতি থাকাকালীন তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন।
এফএইচ/এসআর/আরআইপি
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ যুবদল নেতা শামীম হত্যা: পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল কারাগারে
- ২ ইউনাইটেড হাসপাতাল চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- ৩ ঢাকা মহানগরে তিনদিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- ৪ কামরুলের সঙ্গে কুশল বিনিময়, মহানগর নাজিরের কার্যালয় ভাঙচুর
- ৫ বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী হত্যা: তিনজনের মৃত্যুদণ্ড