খালেদার বিরুদ্ধে কুমিল্লার হত্যা মামলার রুল শুনানি ১০ জুলাই
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় করা হত্যা মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আগামী ১০ জুলাই ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার নির্ধারিত দিনে হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামলায় শুনানির পরর্বর্তী এই দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
আদালতে খাালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সঙ্গে ছিলেন কায়সার কামাল, এ কে এম এহসানুর রহান, অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, সালমা সুলতানা সোমা প্রমুখ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির।
এর আগে গত ২ জুলাই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় করা হত্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের জামিন স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সঙ্গে সঙ্গে, জামিন নিয়ে জারি করা হাইকোর্টের রুল চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যে আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী হাইকোর্টে রুল শুনানির জন্য আগামী ১০ জুলাই পরর্বতী দিন ঠিক করা হয় বলে জাগো নিউজকে জানান ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।
গত ২৮ মে কুমিল্লার নাশকতার দুই মামলায় ৬ মাসের জামিন পান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিনাদেশ দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর গত ২৯ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনাদেশ স্থগিত করেন এবং ৩১ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির আদেশ দেন। ৩১ মে শুনানির পর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত রাখেন এবং রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে আদেশ দেন। ২৪ জুন এ বিষয়ে শুনানি শেষে ২ জুলাই আদেশের দিন ধার্য করা হয়। ২ জুলাই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় করা হত্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে, এ মামলায় জামিন বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া পেট্রল বোমায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে আইকন পরিবহনের একটি বাসের সাতজন যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ২০ জন। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
এফএইচ/জেডএ/জেআইএম