কারামুক্তির একদিন পর ‘একই অপরাধে’ ফের দণ্ডিত বাসচালক
দুপুর পৌনে ১টা, ব্যস্ত কারওয়ান বাজারে ট্রাফিক পুলিশের সরব উপস্থিতি। তাতে ভ্রূক্ষেপ নেই পথচারী কিংবা ওভারটেক প্রবণ বাস ও অটোরিকশা চালকদের। অবস্থা বেগতিক দেখে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা আটক করে কাগজপত্র দেখা শুরু হয়।
বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া দুই মাস কারাদণ্ড ভোগ শেষে গতকাল মুক্তি পেয়েছেন ইউনাইটেড পরিবহনের চালক দেলোয়ার হোসেন। এরপর তিনি আজ (সোমবার) ফের বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বাস চালানো শুরু করেন। তবে বিধি বাম, ভ্রাম্যমাণ আদালতের একই ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমানের হাতেই ধরা পড়েন তিনি।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ট্রাফিক ব্যবস্থা ও ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারী যানবাহন ও চালক-হেলপারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ইউনাইটেড পরিবহনের ওই চালককে এর আগে রাজধানীর শাহবাগে বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ওই কারাদণ্ড ভোগ শেষে তিনি রোববার মুক্তি পান। কিন্তু আজই তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া বাসটি চালিয়ে সদরঘাট থেকে মিরপুর অভিমুখে যেতে কারওয়ান বাজারে ধরা পড়েন।
মশিউর রহমান বলেন, ‘ওই চালককে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে। তিনি অনুতপ্তও নন। তার মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার চেষ্টা থাকলে আজ তাকে রাস্তায় দেখা যেত না। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ফের দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন ও বৈধ কাগজ না থাকায় ৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একজন চালককে দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেশি জরুরি। কিন্তু সেটা খুবই কমই পরিলক্ষিত হচ্ছে। যত্রতত্র পারাপার, রাস্তায় যাত্রী উঠানো ও নামানো, গাড়ির বৈধ কাগজপত্র না করার প্রবণতা লক্ষণীয়।’ ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি বিআরটিএ’র আরও উদ্যোগী হতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ জনগণ সচেতন হলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরও শৃঙ্খল করা সম্ভব।
জেইউ/এমএমজেড/জেআইএম