ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

এমপি বদির দুর্নীতি মামলা : আপিল শুনানিতে প্রস্তুত দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:৫২ পিএম, ২৩ মে ২০১৮

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার মামলায় তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিলের দ্রুত শুনানি করতে চায়। এ কারণে আপিলের পেপারবুক প্রস্তুত করে তা শুনানির জন্য আবেদন করেছেন দুদকের আইনজীবী।

এমপি বদির মামলার বিষয়ে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, পেপারবুকের জন্য মেনশন স্লিপ (আবেদন) দিয়েছি। বুধবার সেকশন থেকে ফাইল আসেনি। পেপারবুক প্রস্তুত হয়ে গেলে আমরা দ্রুত আপিল শুনানি করতে তৈরি আছি।

হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয় বলে জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এ মামলায় ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে আবদুর রহমান বদিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশও দেয়া হয়। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ধারাটি আদালতে প্রমাণিত হয়নি এমপি বদির বিরুদ্ধে।

বিচারিক আদালতের রায়ের যে অংশ প্রমাণ হয়নি সে অংশের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। তবে তার সাত দিন আগে বিচারিক আদালতের দণ্ডের বিরুদ্ধে ১০ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন আব্দুর রহমান বদির আইনজীবী। ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট এমপি বদির বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক আবদুস সোবহান। ২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদবিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া তার হলফনামার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আব্দুর রহমান বদি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যের সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে এক কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানোর অভিযোগে এ মামলা হয়।

অভিযুক্তের সম্পদ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার অফিস, এনবিআর, বিআরটিএ, রাজউক, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি, রিহ্যাব, ব্যাংক-বিমাসহ অন্যান্য অফিসে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে সম্পদের হিসাব বের করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তের নির্বাচনী এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

এফএইচ/ওআর/বিএ