ঢাকার জলাধারগুলোর নিরাপত্তাবেষ্টনীর তথ্য চান হাইকোর্ট
ঢাকা শহরে (মহানগরীতে) যত খাল, ডোবা, নালা ও জলাধার আছে সেগুলো নিরাপদবেষ্টনীভুক্ত করার জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
পদক্ষেপের বিষয়ে রাজউক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। একই সঙ্গে, গত ৯ মার্চ আদাবরের খালে পড়ে নিহত শিশু জিসানের পরিবারকে কেন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, ঢাকার জেলা প্রশাসক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডিএমপি কমিশনার ও আদাবর থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।
পরে তিনি বলেন, রাজউক চেয়ারম্যান, ঢাকার জেলা প্রশাসক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ও ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে তিন মাসের মধ্যে জলাধারসমূহ বেষ্টনীভুক্ত করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদন আকারে জানাতে বলা হয়েছে।
৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর আদাবর এলাকায় নবোদয় হাউজিংয়ের একটি খালে পড়ে নিখোঁজ হয় ছয় বছর বয়সী শিশু জিসান। প্রায় চার ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পাশের কালভার্ট থেকে তাকে উদ্ধার করে।
শিশুটির বাবার নাম আবুল হাসেম। তিনি ওই খালের পাশেই একটি টিনশেড বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন।
আবুল হাসেম জানান, বাড়ি ফিরে দেখেন তার ছেলেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর ফরিদ উদ্দিন জানান, খেলতে গিয়ে শিশুটি ময়লাযুক্ত খালে পড়ে যায়।
এফএইচ/এমএআর/আরআইপি