বার কাউন্সিলে পুনরায় ভোট চায় বিএনপি
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচনের দাবি তুলেছেন বিএনপির নেতা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং নির্বাচন বাতিল করে পুননির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
নির্বাচন আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার তিনদিন পর ফলাফল ঘোষণার আগে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন বাতিল করে পুননির্বাচনের দাবি তোলে জাতীয়তাবাদী (বিএনপির) আইনজীবী ফোরামের নেতারা।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফউর রহমান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
গত ১৪ মে সারাদেশে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে সরকার সমর্থক সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ১৪টি আসনের মধ্যে ১২টি আসনে জয়লাভ করেন। বিএনপি সমর্থকরা দুটি আসনে জয়ী হন।
সারাদেশের সব কেন্দ্রের রেজাল্ট শিট আসার পর কেন্দ্রীয়ভাবে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব উদ্দিন খোকন লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের বর্তমান সদস্য ৯০৯২ জন। বার কাউন্সিল নির্বাচনে সুপ্রিম বারে ভোটার করা হয়েছে মাত্র ৮৫৩ জনকে। বিগত নির্বাচনে শত শত আইনজীবী এ কেন্দ্রে ভোট দিলেও এ নির্বাচনে তাদের অনুমতি বা অনুরোধ ছাড়াই ভোটার তালিকা জেলা বারের ভোট কেন্দ্রে স্থানান্তর করে।
এ কারণে এ ভোট কেন্দ্রে তারা ভোট দিতে পারেনি। এটা একটা নজিরবিহীন ঘটনা। তাদের ভোট ঢাকা বারসহ বিভিন্ন নিম্ন আদালতের ভোট কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
‘এ সম্পর্কে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে সু্প্রিম কোর্ট বারের পক্ষ থেকে ১০ মে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি চিঠি দিলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে সুপ্রিম কোর্ট বারের হাজার সদস্য বার কাউন্সিল নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বঞ্চিত হয়েছেন। এমনকি নির্বাচনের দিনও ৮৮ জনকে ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন করার অনুমতি দিয়েছে। ’
লিখিত বক্তব্যে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জাতীয় পরিচপত্র/পাসপোর্ট অথবা সংশ্লিষ্ট বারের পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দেয়ার বিধান আছে। বিশেষ করে ঢাকা বারে কোন ধরনের পরিচয়পত্র না দেখিয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোট দানের সুযোগ করে দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে প্রকৃত আইনজীবীরা ভোট প্রদানে বঞ্চিত হয়েছেন এবং অন্যদিকে আইনজীবী নন এমন অনেকে ভোট প্রদান করেছেন।’
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিধান থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের দিন প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টকে রেজাল্ট শিট দেয়া হয়নি।এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেআইনি। ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণের জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং নির্বাচন বাতিল করে পুননির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
এফএইচ/এমআরএম/পিআর