‘বার কাউন্সিল নির্বাচনে সরকারের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না’
বার কাউন্সিল নির্বাচনের রেজাল্ট সিটে কোনো প্রকার কাটাছেঁড়া বা ঘষামাজা না করা এবং ভোটারদের নিজ নিজ আইনজীবী সমিতির পরিচয় পত্র দিয়ে ভোট প্রদানের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, ‘গতবার রেজাল্ট শিট ঠিক মতো দেয়া হয়নি। এবার বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে সরকারের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।’
সরকারের হস্তক্ষেপে দেশের সব প্রতিষ্ঠানে নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শনিবার সকালে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের তৃতীয় তলায় সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী এ দাবি করেন।
এ সময় বিএনপির নীল প্যানেলের প্রার্থী আসিফা আশরাফী পাপিয়া ও ফজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারদের অনুরোধ করতে চাই যে, এ নির্বাচনে কোনো প্রকার অনিয়ম করা যাবে না। স্বচ্ছতার সঙ্গে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। প্রার্থীর নিয়োগকৃত এজেন্টকে অবশ্যই ভোট গণনার ফলাফল সম্বলিত রেজাল্ট সিট দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, গতবার নির্বানের রেজাল্ট শিট ঠিক মতো দেয়া হয়নি। এ কারণে বার কাউন্সিলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বেসকারি ঘোষিত ফলাফল পরে পরিবর্তিত হয়। এটা বার কাউন্সিলের ইতিহাসে নজিরবিহীন।’
এজে মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আসন্ন নির্বাচনে ঝালকাঠি জেলায় ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে অভিযোগ করে বলেন, ‘এ বিষয়ে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছে অভিযোগ দেয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলেও তিনি না না কৌশলে এড়িয়ে গেছেন।’
উল্লেখ্য আগামী ১৪ মে (সোমবার) বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনে সরকার সমর্থিত আওয়ামী লীগের সাদা প্যানেল এবং বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে ১৪ জন করে আইনজীবী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এফএইচ/এমএমজেড/এমএস