ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

বার কাউন্সিল নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, ০৮ মে ২০১৮

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে মঙ্গলবার দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন তিনি। রিটে বিবাদী করা হয়েছে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিবকে।

তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৪ মে বাংলাদশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনের জন্য দিন নির্ধারিত রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনজীবীদের মধ্যে আওয়ামীলীগ (সাদা) ও বিএনপিপন্থি (নীল) প্যানেলের প্রার্থীরা সারাদেশ চষে বেড়াচ্ছেন।

রিট আবেদনকারী আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, বার কাউন্সিল আইনের অনুচ্ছেদ ৫(১)-কে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সংবিধানের ১১ অনুচ্ছদ অনুযায়ী প্রশাসনের সব পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু বার কাউন্সিল আইনের ৫(১)(এ) অনুচ্ছেদে অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচন ছাড়াই চেয়ারম্যান। যা সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদ, প্রস্তাবনা, ৭, ১৯,২৬, ২৭, ২৮ ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

আইনজীবী বলেন, রিটে বার কাউন্সিল অর্ডার অনুচ্ছেদ ৫এ(১) চ্যালেঞ্জ করে। এটি বাদ দেয়ার জন্য সংশোধনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটকারী বলেন, ১৯৭২ সালের বার কাউন্সিল অর্ডারের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। এই অর্ডারের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোন বারে ভোটার হবেন, এজন্য লিখিত অপশন দিতে হবে। অপশন না দিলে তিনি মাদার বারের সদস্য নন। কিন্তু বার কাউন্সিলে অপশন না দিয়ে মাদার বারের ভোটার না করে, সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোটার করা সাংঘর্ষিক।

ইউনুস আলী বলেন, ২০১৫ সালের নির্বাচনে ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ থাকায় নির্বাচন স্থগিত হয়। তিন মাস পর ওই বছরের জুলাই মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

রিট আবেদনে দুই প্যানেলের মাধ্যমে নির্বাচন করার বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবী বলেন, সাদা ও নীল প্যানেল দলীয়ভাবে নির্বাচন করছে। যা সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং ৭, ১৯, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া বার কাউন্সিল আইনের ৬২ (২) ধারাও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফলে আইনজীবীদের শপথ ভঙ্গ হচ্ছে।

একই ব্যক্তি যেন দুইবার নির্বাচন করতে না পারে তা বাতিল এবং এই নির্বাচনের তফসিল বাতিলের বিষয়টিও আবেদনে উল্লেখ করেন তিনি। ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, বার কাউন্সিলের বিধান অনুযায়ী অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে চেয়ারম্যান থাকার বিষয়টি রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কারণ যেহেতু নির্বাচনের মাধ্যমে অন্যান্য প্রতিনিধি করা হয়। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও ভোটের মাধ্যমে হবেন।

উল্লেখ্য, দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রকারী সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আগামী ১৪ মে। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫৭ হাজার। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবন ছাড়াও দেশের জেলা সদর এবং উপজেলা সদরের দেওয়ানী আদালত প্রাঙ্গণ ও বাজিতপুরের কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এএস/এফএইচ/এমবিআর/জেএইচ/পিআর/এমএস

আরও পড়ুন