ফরহাদ মজহার দম্পতির রিভিশন মামলার শুনানি ২৮ জুন
কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে চাঁদা দাবির মামলাটি পুনতদন্তের জন্য রিভিশন মামলার শুনানির জন্য আগামী ২৮ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। ৩০ এপ্রিল ঢাকার ১০ নং বিশেষ জজ মোহাম্মদ আতাবুল্লাহর আদালতে মামলাটির শুনানির দিন ধার্য ছিল। ফরহাদ মজহার দম্পতির আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২৮ জুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২২ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা রিভিশন মামলাটি বদলির আদেশ দিয়েছেন। রিভিশন মামলাটি শুনানির জন্য ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে।
ফরহাদ মজহারের ঘটনায় যে মামলা হয়েছে তার সত্যতা না পেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ডিবি পুলিশ। ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেয়ার আবেদন করে আইনজীবী। আদালত সেদিন সকালে আবেদন মঞ্জুর করেন কিন্তু বিকেলে আবেদনটি নামঞ্জুর করেন। এরপর তাদের আইনজীবী মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটির পুনরায় তদন্তের জন্য একটি রিভিশন মামলা করেন।
৩১ ডিসেম্বর মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করায় কবি-প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম শুব্রত ঘোষ শুভ। প্রসিকিউশন মামলা আমলে নিয়ে তাদের আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
২৮ ডিসেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আদাবর থানার নন-জিআর শাখায় এ প্রসিকিউশন মামলাটি ডাকযোগে পাঠান মামলার বাদী ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাহাবুবুল ইসলাম।
তিনি ফরহাদ মজহার ও ফরিদা আক্তারকে পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। ৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রসিকিউশন মামলা করার জন্য অনুমতি প্রদান করেন।
গত ৩১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাহাবুবুল ইসলাম আদালতে কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে যে মামলা করা হয়েছিল সেটিতে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
অন্যদিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ও হয়রানির অভিযোগ দণ্ডবিধির ২১১ ও ১০৯ ধারায় ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মামলা দায়েরের অনুমতি চান তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ৩ জুলাই ভোরে রাজধানীর শ্যামলীর রিং রোডের ১নং হক গার্ডেনের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। পরে স্ত্রীকে নিজের মোবাইল ফোনে জানান, কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়বার কল করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে মোবাইল ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় এবং ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগরে হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে।
ফরহাদ মজহারের নিখোঁজের ঘটনায় ওই দিন রাতেই স্ত্রী ফরিদা আক্তার বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলা নং- ০৪। এর আগে তিনি জিডি করেছিলেন। জিডি নং- ১০১।
জেএ/এমআরএম/পিআর