গ্রিনলাইন বাসের চালকের রিমান্ড নামঞ্জুর
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসের চাপায় প্রাইভেকটার চালক রাসেলের (২৫) পা বিচ্ছিন্নে ঘটনায় গ্রিনলাইন পরিবহনের চালক কবির হোসেনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার আটক কবির হোসেনকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাইদ রিমান্ড নামঞ্জুর করে সাত কার্যদিবসের মধ্য তিনদিন জেলগেটে কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
এদিকে রাসেলের সহকর্মী আরিফ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, গতকাল (শনিবার) ঘটনার পর প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নেয়া হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে। সেখানে শনিবার রাত ৮টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা তার অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা, কিন্তু তার পা জোড়া লাগাতে পারেননি। এখন তিনি অ্যাপোলোতেই আছেন।
শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে ফ্লাইওভারের ধোলাইপাড় ঢালে দুর্ঘটনায় বাম পায়ে চাপা খান রাসেল। এতে তার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাসেল এপিআর এনার্জি বিদ্যুৎ প্রজেক্টেরের গাড়িচালক বলে জানা গেছে। ঘাতক গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসটিও আটক করেছে পুলিশ।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া বলেন, ফ্লাইওভারের ধোলাইপাড় ঢালে গ্রিনলাইন পরিবহন তার (রাসেল) প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। তখন তিনি কার থামিয়ে বাসটিকে থামাতে যান। বাস না থামিয়ে প্রথমে রাসেলকে ধাক্কা দেয়, পরে তার বাম পায়ের ওপর চাপা দিয়ে চলে যায়। রাসেলকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়েছিল।
ঘটনাস্থল থেকে রাসেলকে উদ্ধার করেন এপিআর এনার্জি বিদ্যুৎ প্রজেক্টের সিকিউরিটি ম্যানেজার ইমতিয়াজ।
তিনি জানান, রাসেল এপিআর এনার্জি বিদ্যুৎ প্রজেক্টের গাড়িচালক। কেরানীগঞ্জে প্রজেক্টের একটি নির্মাণাধীন স্থান থেকে ফেরার সময় যাত্রাবাড়ীতে গ্রিনলাইন বাসটি তার প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। পরে গাড়ি থামিয়ে বাসের সামনে গিয়ে বাসচালককে নামতে বলেন রাসেল। কিন্তু উল্টো বাস চালানো শুরু করেন। তখন রাসেল সরতে গেলে ফ্লাইওভারের রেলিংয়ে আটকে পড়েন। সেখানে বাসচাপায় তার বাম-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
জেএ/জেডএ/আরআইপি