রোজিনা হাসপাতালে : চালকের জামিন
রাজধানীর বনানীতে বিআরটিসি গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে রোজিনার পা হারানোর মামলায় বিআরটিসি বাসের চালক শফিকুল ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
২৫ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। এদিকে আজ রোজিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের হাই ডিপেন্ডেসি ইউনিটে (এইচডিইউ) নেয়া হয়েছে।
এদিন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল (পঙ্গু হাসপাতাল) থেকে ঢামেকে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোজিনা মোটামুটি ভালো আছেন। তবে তার ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় অন্য কোনো ফ্র্যাকচার (ভাঙা বা ক্ষত) আছে কি-না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
ঢামেকের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, পঙ্গু হাসপাতাল থেকে তাকে এখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। ‘তাদের মনে হয়েছে, রোজিনার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে, তাই এখানে পাঠিয়েছে। তবে তাকে দেখে মনে হয়েছে, তার অবস্থা স্থিতিশীল। তার চিকিৎসায় আগামীকাল সকালে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে। তারপর বলা যাবে তার শরীরিক কোনো সমস্যা আছে কি-না। তবে তার পায়ে একটা প্লাস্টিক সার্জারি করা লাগতে পারে।’
প্রসঙ্গত, ঢাকায় দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারিয়ে কলেজছাত্র রাজীবের মৃত্যুর পর সপ্তাহ না যেতেই বাসের চাপায় পা হারান রোজিনা (২১)। পরে তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়।
সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার বাসায় কাজ করতেন রোজিনা। তার ডান পা উরু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে ইশতিয়াক রেজা ওই সময় জানান। ২০ এপ্রিল মহাখালীতে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে রোজিনা দুর্ঘটনায় শিকার হন। ওই দিন রাত ৮টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে বিআরটিসির বাস (ঢাকা মেট্রো ব ১১-৫৭৩৩) রোজিনা আক্তারকে ধাক্কা দেয়। রোজিনা পড়ে গেলে বাসটি তার ডান পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। তার পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় ঘটনায় গাজী টেলিভিশনের নিজস্ব প্রতিবেদক মহিউদ্দিন আহমেদ রাজধানীর বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
বিআরটিসির ওই বাস এবং তার চালক শফিকুলকে আটক করা হয়েছে। পরে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ রোজিনার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়। গত ৩ এপ্রিল কারওয়ান বাজার মোড়ে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের প্রতিযোগিতার মধ্যে এক হাত হারান তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে তার মৃত্যু হয়।
জেএ/এমআরএম/জেআইএম