বনানীতে ধর্ষণ : ‘দ্য রেইন ট্রি’র সাত কর্মচারীর সাক্ষ্য
রাজধানীর বনানীতে ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় ওই হোটেলের সাত কর্মচারী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রোববার (২২ এপ্রিল) ঢাকার ২নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজমের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৭ মে দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
সাক্ষীরা হলেন- হেলাল মিয়া, ফরহাদ হোসেন, আক্তার বানু, শহিদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, আলী হোসেন রাজু ও ফারজানা বিথি। এ নিয়ে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ডেকে নিয়ে বেসরকারি দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে বনানী থানায় ধর্ষণের মামলা করেন দুই ভুক্তভোগী।
২০১৭ সালের ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেনের আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। অভিযোগপত্রে ৪৭ জনকে সাক্ষী করা হয়।
২০১৭ সালের ১৩ জুলাই ঢাকার ২নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আসামি সাফাত ও নাঈমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ধারা এবং অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ৯ (১) এর ৩০ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ছাড়াও অভিযুক্ত অপর চারজন হলেন তার বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী।
জেএ/বিএ/এমএস