ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

‘খালেক মন্ডলের নির্দেশে গুলি করে ২ জনকে হত্যা করা হয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:১৫ এএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডল ওরফে খালেকসহ চারজনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের তৃতীয় সাক্ষী জহিরুল হক তার জবানবন্দি পেশ করেছেন। জবানবন্দি পেশ করার পর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেছেন। জেরা শেষে মামলার কার্যক্রম আগামী ১৫ মে পর্যন্ত মামলা কার্যক্রম মূলতবি করেছেন আদালত।

জবানবন্দীতে সাক্ষী বলেন, আসামি খালেক মন্ডলের নির্দেশে আমার ভাই সিরাজুল ইসলাম ও সহমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

সাক্ষী তার জবানবন্দিতে বলেন, আমার নাম মো: জহিরুল ইসলাম। আমার বসয় ৬১ বছর। আমার ঠিকানা গ্রাম মধ্যকাটিয়া , থানা- সাতক্ষীরা জেলা সাতক্ষীরা। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল আনুমানিক ১৩/১৪ বছর। তখন সাতক্ষীরা টাউন হাইস্কুলে ৭ম শ্রেণিতে পড়তাম।

তিনি বলেন, আমি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতাম। বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছি। আসামি খালেক মন্ডল নৌ কমান্ড সিরাজুল ইসলাম ও আফতাব উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করার নির্দেশ দেন। এর পর রাজাকাররা নৌকামান্ড সিরাজুল ইসলাম ও আফতাব উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে।

সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের পর জেরার কার্যক্রম শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ মে।

ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আমীর হোসেনের নেতৃত্বে দুই বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন।

অন্যদিকে আসামি খালেক মণ্ডলের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান তরফদার ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, অপর আসামি সাতক্ষীরার রাজাকার কমান্ডার আব্দুল্লাহ হেল বাকীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। পলাতক দুই আসামির পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমইএইচ তামিম। এর আগে গত ৫ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেয়া হয়।

২০১৭ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। মামলায় চার আসামির মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডল ওরফে খালেক কারাগারে রয়েছেন এবং অপর আসামি সাতক্ষীরার রাজাকার কমান্ডার আব্দুল্লাহ হেল বাকী গ্রেফতারের পর শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন। বাকি দুই আসামি খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম টেক্কা খান পলাতক।

এফএইচ/আরএস/পিআর

আরও পড়ুন