ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : ৩০ আসামির যুক্তি সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:২২ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৮

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামি হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ নিজের পক্ষে নিজেই যুক্তি উপস্থাপন শেষে করেছেন। এনিয়ে ৩০ জন আসামির যুক্তি উপস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার পুরান ঢাকায় ১ নং অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিনের আদালতে তিনি যুক্তি উপস্থাপন করেন। এদিন তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়ায় পরবর্তী আসামিদের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ১০ ও ১১ এপ্রিল দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমানের সহকারী একরামুদ্দিন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ৪ এপ্রিল তিনি নিজের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। তিনি যুক্তিতে বলেন, আমি হরকাতুল জিহাদের সদস্য নয়। হয়রানির জন্য আমাকে এ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। তার পক্ষে যুক্তি শেষে না হওয়ায় ৯, ১০ ও ১১ এপ্রিল পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

আলোচিত এ মামলায় ৫১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আরও ২০ জনের সাফাই সাক্ষ্য নেয়া হচ্ছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিনশতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরের দিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)।

২০০৮ সালের ১১ জুন মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির। ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন।

জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবি সদস্য শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়। ফলে এ মামলায় এখন আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ জন। এর মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। জামিনে আটজন এবং কারাগারে রয়েছেন ২৩ জন।

জেএ/জেএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন