রাজীবের হাত বিচ্ছিন্নের মামলায় প্রতিবেদন ৯ মে
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেপরোয়া দুই বাসের মাঝে পড়ে তিতুমীর কলেজের স্নাতকের ছাত্র রাজীব হোসেনের হাত বিচ্ছিন্নের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর আব্দুলাহ আল মাসুদ মামলার এজাহারটি গ্রহণ করে প্রতিবেন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছলে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসি বাসটির গা ঘেঁষে অতিক্রম করে। দুই বাসের প্রবল চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ওই ঘটনার পর পথচারীরা রাজীবকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাজীবের ডান হাত কুনইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তবে তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আফতাব আলী জানান, ঘটনার পরপরই স্বজন পরিবহনের চালক বাস রেখে পালিয়ে যায়। পরে বুধবার দোতালা বাসের চালক ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের বাসের চালক মো. খোরশেদকে গ্রেফতার করা হয়।
রাজীবের বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। পড়ালেখার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার টাইপ করে তিনি নিজের এবং ছোট দুই ভাইয়ের খরচ চালাতেন বলে রাজীবের মামা জাহিদুল জানিয়েছেন।
ওই ঘটনায় রাজিব হোসেনকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বুধবার রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন এবং তার কৃত্রিম হাত প্রতিস্থাপন করা হলে তার খরচও দুই বাসমালিক কর্তৃপক্ষকে বহন করতে আদেশ দেন আদালত।
জেএ/জেডএ/পিআর