‘সরকার দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার প্রশ্নই আসে না’
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আসলে আপনারা জানেন এবং আদালতকেও বলেছি, দুদক একটি স্বাধীন সংস্থা। সরকার দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দুর্নীতি মামলায় খালেদার সাজা বাড়ানোর বিষয়ে রুল জারির পর এক প্রতিক্রিয়াই দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার করা আপিলে আমরা আপত্তি দিয়েছি। তো এখানে দুর্নীতি দমন কমিশন না এসে কে আসবে? আর দুদক আপিল করবে কি-না সেটা দুদকই সিদ্ধান্ত নেয়। সেটা সরকার দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে একটি ফৌজদারী রিভিশনের অ্যাপ্লিকেশন দাখিল করেছিলাম। আজকে শুনানি হয়েছে। আমরা সেই আবেদনটি দায়ের করেছি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা কেন বাড়ানো হবে না, এই মর্মে আমরা আবেদন করেছিলাম।’
খুরশীদ আলম বলেন, ‘আবেদনের মূল যুক্তিটা ছিল এই মামলায় খালেদা জিয়া মুখ্য আসামি। প্রিন্সিপাল অ্যাকিউসড। উনাকে দেয়া হয়েছে পাঁচ বছর আর যারা সহযোগী তাদের দেয়া হয়েছে ১০ বছর। এটা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য না।’
তিনি বলেন, ‘বিচারপতি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, খালেদা জিয়া যে মুখ্য আসামি এটা কোথায় আছে? সেটা আমি রায় থেকে পড়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছি। আদালত দুই পক্ষকেই শুনে আদেশ দিয়েছে, মেটারটি এক্সামিন করা উচিত। এজন্য চার সপ্তাহের রুল ইস্যু করেছেন, কেন খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানো হবে না, এই মর্মে। চার সপ্তাহের মধ্যে খালেদা জিয়া এবং রাষ্ট্রকে এর জবাব দিতে বলেছে।’
দুদকের আইনজীবী বলেন, এই ক্রিমিনাল রিভিশনের রুলটা বেগম খালেদা জিয়া যে আপিল দায়ের করেছেন এবং উনারসহ আসামি কাজী সলিমুল হক কামাল যে আপিলটা দাখিল করেছেন এই দুটো আপিলের সঙ্গে এই রুলটিরও শুনানি হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে খুরশীদ বলেন, উনারা (খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা) বারবার বলে আসছেন, দুদক সরকারের পক্ষে এসে সরকারের পারপাস সার্ভ করছে এবং এ মামলাটি দাখিল করেছে। আসলে আপনারা জানেন এবং আদালতকেও বলেছি, দুদক একটি স্বাধীনসংস্থা। মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনের। দুদক মামলাটির অনুসন্ধান, এফআইয়ের করেছে। দুদক চার্জশিট দিয়েছে, এ মামলার সব সাক্ষী দুদকের। আপিলে আমরা আপত্তি দিয়েছি। তো এখানে দুর্নীতি দমন কমিশন না এসে কে আসবে? আর দুদক আপিল করবে কিনা সেটা সংস্থাটি সিদ্ধান্ত নেয়। সেটা সরকার দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন আইন ও বিধি আছে। আইনে বলে দেয়া আছে কমিশন যেটা সিদ্ধান্ত নেবে সে অনুযায়ী কমিশন কাজ করবে।
শুনানিতে উনারা (খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা) বলেছেন, দুদক আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের রিভিশন আবেদনের সুযোগ নেই। যদি দুদককে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর আবেদন করতে হয় তবে আইনটি সংসদে সংশোধন করে আসতে হবে।
এফএইচ/জেএইচ/জেআইএম