দুদকের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে মওদুদের প্রশ্ন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, রাজনীতির চাপে তারা খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন ফাইল করেছেন। এটা দুদকের নিজস্ব পলিসি না।
বুধবার খালেদা জিয়ার সাজা কেন বাড়ানো হবে মর্মে রুল জারির পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, দুদক একটি স্বাধীন দায়িত্বশীল সংস্থা। এ মামলার রায়ে খালেদা জিয়ার যে ৫ বছরের সাজা হয়েছে, এতে তারা (দুদক) ক্ষুব্ধ হলেন কিভাবে? এটাতো কোনো প্রাইভেট কোম্পানি আর দুদকের মামলা নয়। এতে বোঝা যাচ্ছে তারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছেন না। রাজনীতির চাপে তারা এ আবেদন ফাইল করেছে। এটা দুদকের নিজস্ব পলিসি না।
দুদক প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের কে বা কার বিরুদ্ধে এ মামলা, সেসব দেখে দুদকের ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা না। আমরা আদালতে বলেছি তাদের যদি রিভিশন করতে হয় তাহলে আইন পরিবর্তন করতে হবে এবং আইন পরিবর্তন করে আসেন। না হলে এটা (রিভিশন আবেদন) তাদের প্রত্যাহার করা উচিত। নইলে তারা আপিল ফাইল করুক; কিন্তু এটা একটা অনিয়ম হলো।
তিনি আরও বলেন, আদালতে আমরা আইনের যে প্রশ্ন তুলেছি তার প্রেক্ষিতে আদালত বললেন, এর একটা ব্যাখ্যা প্রয়োজন। সুতরাং এটা নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন আদালত।
এর আগে বেলা ২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত শুনানি শেষে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
দুদকের করা এক আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি নিয়ে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল দেন।
সাজার মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়ে দুদক ওই রিভিশন আবেদনটি করে, যার গ্রহণযোগ্যতার ওপর আজ শুনানি করে আদালত রুল দেন। আদালত ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর এক আসামির করা আপিলের সঙ্গে এ আবেদনের শুনানি হবে বলে আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে দুদকের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে মওদুদ আহমদ ও এজে মোহাম্মদ আলী এবং জয়নুল আবেদীন শুনানিতে অংশ নেন।
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
প্রায় সাত সপ্তাহ পর বুধবার প্রথম জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে কারাগার থেকে তিনি বাইরে আসতে পারেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছিল। তবে ‘অসুস্থতার কারণে’ তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে আজ। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যে আদালত তাকে দণ্ডিত করেছেন, সেই আদালতেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে।
এফএইচ/জেএইচ/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের কোনো টাকা আত্মসাৎ হয়নি: দুদক
- ২ বাংলাদেশ নিয়ে গুজব, ভারতের রিপাবলিক বাংলা টিভি নিষিদ্ধের দাবি
- ৩ ড. ইউনূসের ছয় প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুুর: ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- ৪ খালেদা জিয়ার আপিলের অনুমতি মিলবে কি না, জানা যেতে পারে সোমবার
- ৫ শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে