যে কোনো দিন মৌলভীবাজারের চারজনের রায়
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৌলভীবাজারের আকমল আলী তালুকদারসহ চারজনের মামলার রায় যে কোনো দিন ঘোষণা করা হবে।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. আকমল আলী তালুকদার (৭৬), আব্দুন নুর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া (৬২), মো. আনিছ মিয়া (৭৬) ও মো. আব্দুল মোছাব্বির মিয়া (৬৪)। তাদের মধ্যে আকমল আলী তালুকদার ছাড়া বাকি তিনজন পলাতক।
রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ করার পর মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) করে আদেশ দেন।
আদালতে এ মামলায় প্রসিকিউটর ছিলেন, সৈয়দ হায়দার আলী, আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সুবহান তরফদার। ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর আবুল কালাম, সুলতান মাহমুদ সীমন।
প্রসিকিউটর হায়দার আলী সাংবাদিকদের জানান, আজ এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। যে কোনো দিন এ মামলার রায় দেয়া হবে মর্মে সিএভি (অপেক্ষমাণ) রেখেছেন আদালত। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আশা করি, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।
২০১৭ সালের ৭ মে ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। এর পর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে যুক্তিতর্ক করা হয়।
২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর এ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই জেলার রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে আকমল আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। তিনি মৌলভীবাজার টাউন সিনিয়র কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ।
২০১৬ সালের ২৩ মার্চ এ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী সংস্থা। এর ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তৈরি করে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন। ৩০ মে এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়া হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, মরদেহ গুম, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের আলাদা আলাদা অভিযোগ আনা হয়।
এফএইচ/জেএইচ/এমএস