ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

জনকল্যাণে বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান বিচারপতির

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৩৭ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৮

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দেশের বিত্তবানদের শিক্ষা ক্ষেত্রে ও জনকল্যাণমূলক কাজে অনুদান দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে অনুষ্ঠিত সাবেক প্রধান বিচারপতি আমিন আহাম্মদের স্মরণসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি আমিন আহাম্মদের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বিচারপতি আমিন আহাম্মদ ট্রাস্ট’ এই স্মৃতিচারণ ও গোল্ড মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘উন্নত দেশে বিত্তবান, ব্যবসায়ী, কোটিপতিরা তাদের আয়ের একটি অংশ অনুদান হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে দিয়ে থাকেন। কিন্তু দুঃখজনক হলো আমাদের দেশে ধনীরা তাদের আয়ের খুব সামান্য অংশই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমাজকল্যাণমূলক সংগঠনকে দিয়ে থাকেন। যা আমাদের জন্য হতাশাজনক।’

বিচারপতি আমিন আহাম্মদের অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচারপতি আমিন আহাম্মদ মানবতার জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করেছেন। তিনি অনেক যুগান্তকারী রায় দিয়ে গেছেন। যা বিচার বিভাগের জন্য নিয়ামক হিসেবে রয়েছে।’

সাবেক এই প্রধান বিচারপতির মতো সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে বিত্তশালীদের আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কঠোর অধ্যাবসায়ের মধ্য দিয়ে তোমরা তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে। এজন্য তোমাদের প্রয়োজন গুণগত, নিবিড় অধ্যাবসায় ও গঠনমূলক সমালোচনার সক্ষমতা অর্জন করা।’

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ২০১৫ সালে এবং ২০১৬ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকারী দু’জনকে গোল্ড মেডেল প্রদান করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

বিচারপতি কাজী এবায়দুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মীর হাশমত আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি তারিক-উল হাকিম, বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, বিচারপতি এম আর হাসান প্রমুখ।

সাবেক প্রধান বিচারপতি প্রয়াত আমিন আহাম্মদ ১৮৯৯ সালের ১ অক্টোবর ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আহমদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে বিএ ও এম ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যারিস্টারি পড়া শেষে দেশে ফিরে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৪৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ভারত ভাগের পর ঢাকা হাইকোর্টে বিচারপতি হন। ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি হন। ১৯৫৯ সালে তিনি অবসরে যান।

১৯৯১ সালের ৬ ডিসেম্বর ইন্তেকালের আগে তিনি ‘আমিন আহাম্মদ স্মৃতি ট্রাস্ট’ করে তার সব সম্পদ তাতে দান করেন।

এফএইচ/এমবিআর/এমএস

আরও পড়ুন