ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ : মাহবুবে আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে আগামীকাল মঙ্গলবার আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

জামিন আদেশের পর সোমবার বিকেলে নিজ কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা জানান।

সোমবার দুপুরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মাহবুবে আলম বলেন, রায়ের কপি পাওয়ার আগে আমরা জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে আপিল করব।

এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেছেন, অন্য মামলায় গ্রেফতার না দেখালে খালেদা জিয়ার মুক্তি পেতে আর কোনো বাধা নেই।

গতকাল রোববার বিশেষ আদালতের রায়ের নথি হাইকোর্টে না পৌঁছায় আদালত আদেশের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন।

গতকাল দুপুর ১২টার দিকে নিম্ন আদালত থেকে রায়ের নথি হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড নিয়ে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন।

রোববারের কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি এক নম্বরে ছিল। সকাল সাড়ে ১০টায় বেঞ্চের দুই বিচারপতি আসনগ্রহণের পর অন্যান্য মামলার ম্যানশন করেন আইনজীবীরা। এরপর ঘড়ির কাঁটায় যখন ১১টা ৪৪ মিনিট তখন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের দীর্ঘ প্রথা ও এখতিয়ার আছে নথি ছাড়াই জামিন দেয়ার। আমরা চাই আজই জামিনের বিষয়ে আদেশ দেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এর পরই গত ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। সেইসঙ্গে স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে এসে পৌঁছানোর পরই আদেশ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

এ মামলায় মোট আসামি ছয়জন। তার মধ্যে তিনজন পলাতক। এই তিনজন হলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এফএইচ/জেএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন