খালেদার মামলার নথি উচ্চ আদালতে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে নিম্ন আদালতের ঘোষণা করা রায়ের নথি উচ্চ আদালতে পৌঁছেছে। রোববার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এ নথি উচ্চ আদালতে পৌঁছায়।
এরআগে ঢাকার বিশেষ জজ ৫ এর পেশকার মোকারম হোসেন দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে নিম্ন আদালত থেকে পুলিশ পাহারায় নথি নিয়ে উচ্চ আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন।
নথির মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ৫৩৭৩ বলেও জানান তিনি।
আজ (রোববার) এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয় আদেশের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে না পৌঁছায় জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামীকাল (সোমবার) দিন ধার্য করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় কারাগারে থাকা খালেদার জামিন চেয়ে আপিল (আপিল নম্বর ১৬৭৬/২০১৮) করেন। ৪৪টি যুক্তি তুলে ধরে আপিলটি করা হয়।
পরে ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ২৫ ফেব্রুয়ারি উভয়পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ নিম্ন আদালতের নথি আসার পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে জানান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন পুরান ঢাকার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান। একই সঙ্গে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
রায় ঘোষণার ১১দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পান। পরের দিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার হাজিরার জন্য আবেদন করা হয়।
এফএইচ/এনএফ/এমএস