ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ভবন ভাঙতে আরও এক বছর সময় চায় বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:২২ এএম, ১১ মার্চ ২০১৮

রাজধানীর হাতিরঝিল প্রকল্পের ভিতরে বেআইনিভাবে নির্মাণ করা ১৬তলা বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য আরও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

গত রোববার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়েছে বলে বিজিএমইএর আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য আরও এক বছর সময় চেয়ে আবেদন ফাইল করা হয়েছে। আবেদনটি কার্যতালিকায় আসেনি। এ বিষয়ে আগামী মাসের প্রথমদিকে (তিন) বিস্তারিত জানা যাবে।

এ মামলায় হাইকোর্টে অ্যামিকাস কিউরির দায়িত্ব পালন করা অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, তিনি আবেদনের ব্যপারে শুনেছেন। তবে সেটি তালিকায় আসেনি।

এর আগে গত ৮ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য সময় চেয়ে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে পোশাক রফতানিকারকদের এই সংগঠনকে ৭ মাস সময় বাড়িয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। সে হিসেবে আগামী ১১ এপ্রিল আদালতের বেঁধে দেয়া সময় শেষ হবে। সেই সময় শেষ হওয়ার আগেই ফের সময় বৃদ্ধির আবেদন করল বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।

রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর গত বছরের মার্চে বিজিএমইএর আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ছয় মাস সময় দিয়েছিল, যা শেষ হয় গত ১২ সেপ্টেম্বর। এরপর থেকেই নতুন করে ৭ মাস গণনা শুরু হয়।

জলাধার আইন ভেঙে নির্মিত বিজিএমইএ ভবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে ‘একটি ক্যান্সার’ মন্তব্য করে সেটির নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা এবং ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেয়া ওই রায় আপিলেও বহাল থাকে। পরে বিজিএমইএ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।

রায়ের পর কার্যালয় সরিয়ে নিতে বিজিএমইএ তিন বছর সময় চাইলেও আপিল বিভাগ তাদের ছয় মাসের মধ্যে সে কাজ শেষ করতে বলে। সেই ছয় মাস সময় শেষ হওয়ার আগে আগে আরও এক বছর সময় চেয়ে গত বছরের ২৩ অগাস্ট আবেদন করে বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সে সময় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হলেই আমরা চলে যাব। তবে নতুন ভবন সম্পন্ন হতে আরও এক বছর সময় লাগবে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য রাজধানীর উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরে অর্ধেক মূল্যে সাড়ে ৫ বিঘা জমি বিজিএমইএকে বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৭ সেপ্টেম্বর টাকা পরিশোধ করে সেই জমির দলিল বুঝে পেয়েছে বিজিএমইএ।

এফএইচ/এমএমজেড/এমএস

আরও পড়ুন