ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

কক্সবাজারের সালামতসহ ১৭ জনের অভিযোগ গঠন ৩ এপ্রিল

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:১৬ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

এক আসামি আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কক্সবাজারের মহেশখালীর সালামত উল্লাহ খানসহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পিছিয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ৩ এপ্রিল পরর্বতী দিন ঠিক করে আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার বিচারপতি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে‌ তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সোবহান তরফদার ও আবদুস সাত্তার পলোয়ান।

আবদুস সাত্তার পলোয়ান জাগো নিউজকে বলেন, সোমবার এ মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ছিল। কিন্তু গ্রেফতার পাঁচ আসামির মধ্যে রশিদ মিয়া কোনো কথা না বলতে পারায় অভিযোগ গঠন করা হয়নি। তাই ‘তার অসুস্থতার বিষয়ে স্বাস্থগত তথ্য দেয়ার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ দিয়ে নীরিক্ষা করার জন্য বলেছেন আদালত।’

গ্রেফতার পাঁচ আসামি ও পলাতক ১২ আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পলোয়ান বলেন, জামিনে থাকা আসামি রশিদ মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিসাধীন ছিলেন।

এ মামলার ১৭ আসামির মধ্যে জামিনে থাকা বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ রশিদ মিয়াসহ গ্রেফতার পাঁচ আসামি। অন্য চারজন হলেন- কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও এলডিপি নেতা সালামত উল্লাহ খান, নূরুল ইসলাম, বাদশা মিয়া ও ওসমান গণি।

পলাতক ১২ আসামি হলেন- মৌলভী মোহাম্মাদ জাকারিয়া শিকদার (৭৮), অলি আহমদ (৫৮), মো. জালাল উদ্দিন (৬৩), মোহাম্মদ সাইফুল ওরফে সাবুল (৬৩), মমতাজ আহমদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), আমজাদ আলী (৭০), মৌলভী রমিজ হাসান (৭৩), আব্দুল শুক্কুর (৬৫), মো. জাকারিয়া (৫৮), মৌলভী জালাল (৭৫) ও আব্দুল আজিজ (৬৮)।

মামলার শুরুতে এ মামলায় আসামি ছিল ১৯ জন। জামিনে থাকা অবস্থায় এক আসামি ও কারাগারে থাকা অবস্থায় একজনের মৃত্যু হলে তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধর্মান্তর ও দেশান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৩ ঘটনায় ১২টি অভিযোগ এনেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এর মধ্যে ৯৪ জনকে হত্যাসহ নারী নির্যাতন এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অনেক ঘটনা রয়েছে।

২০১৪ সালের ১২ মে থেকে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই মামলার তদন্ত চলে। এই মামলায় মোট ১২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

এফএইচ/বিএ

আরও পড়ুন